• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

সন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ মায়ের

  • ''
  • প্রকাশিত ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে অভিমানী গৃহবধু দেড় বছর বয়সি শিশু সন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চাঁদপুর থেকে চট্রগ্রামমূখী সাগরিকা এক্সপ্রেসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মা ও শিশু আত্মহত্যা করে।

আত্মহননকারী তরুণী ২ সন্তানের জননী হাজীগঞ্জের হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা গ্রামের দেওয়ানজী বাড়ীর রফিকুল ইসলামের মেয়ে তাহমিনা আকতার রিমা (২৪)। তার সাড়ে ৪ বছর বয়সি আরো একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ২৮ মার্চ তরুণী রিমা তার স্বামী একই উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের স্বর্ণা গ্রামের হাওলাদার বাড়ীর নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে মাসুদুজ্জামান হাওলাদার (৪০), তার ভাসুর মামুন হাওলাদার (৫৫)ও মাহবুব হাওলাদার (৫০) বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রিমার বাবা তার স্বামী মাসুদুজ্জামানকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে কুয়েতে পাঠায়। বিদেশ যাওয়ার পর থেকে মাসুদ রিমাকে ভরণপোষণ না দিয়ে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ হুমকী-ধমকী দিতে থাকে। এক পর্যায়ে রিমা বাধ্য হয়ে মাসুদকে তালাক দেয়। তালাকের পর স্বামী মাসুদ ইমো’তে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও প্রাণনাশের হুমকী এবং স্বামী-স্ত্রীর বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম (ফেইসবুকে) ছেড়ে দেয়ার হুমকী দেয়। এ ঘটনায় ভাসুরদের জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে রিমাকে হুমকী-ধমকী দেয়।

বিষয়টি থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে রিমার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে।

এক পর্যায়ে কোনভাবেই অপমান-অপদস্থ ও হুমকী-ধমকী সহ্য করতে না পেরে তার দেড় বছর বয়সি শিশু সন্তান আবদুর রহমানকে নিয়ে তাহমিনা আকতার রিমা আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়। তবে রিমা আত্মহত্যার পূর্বে তার ব্যবহৃত (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) ফেইসবুকে “এ আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয়, তার মেয়েকে সবাই যেনো দেখে রাখে” এমনি একটি পোস্ট দিয়েই ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিষয়টি হাজীগঞ্জে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহমান বলেন, আমি বিবাদীদের বাড়ীতে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, আত্মহত্যার ঘটনাটি যেহেতু ট্রেন লাইনে ঘটেছে জিআরপি পুুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এসআই আবদুর রহমানের সাথে কথা বলেছি। সে বলেছে বিবাদীদের বাড়ীতে তদন্তে গিয়েছিলো।

ট্রেনের নিচে পড়ে মা ও শিশু সন্তান আত্মহত্যা করার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ আলম।

এ দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌ. জাকির হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads